Studypress News

ব্লু ইকোনমি এবং বাংলাদেশ

11 Feb 2017

বিংশ শতাব্দীজুড়ে পরিবেশগত নানা আন্দোলন ও সম্মেলন আমাদের সামনে নিয়ে এসেছে একের পর এক পরিবেশবান্ধব মডেল। এসব মডেলের মধ্যে গ্রিন ইকোনমি মডেল বা সবুজ অর্থনীতি মডেল ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। একবিংশ শতাব্দীতে এসে প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল এই মডেলের অধিকতর সম্প্রসারণের। গ্রিন ইকোনমি মডেলের পরবর্তী ধাপ তথা সম্প্রসারণই ব্লু ইকোনমি নামে পরিচিত, যা অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার একটি কার্যকর বিকল্প হিসেবে ইতোমধ্যেই পৃথিবীজুড়ে শক্ত অবস্থান গড়ে তুলেছে।


১৯৯৪ সালে অধ্যাপক গুন্টার পাউলি ভবিষ্যতের অর্থনীতির রূপরেখা প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘ কর্তৃক আমন্ত্রিত হন। বিস্তারিত আলোচনা, গবেষণা আর নিজের অধীত জ্ঞানের মিশ্রণ ঘটিয়ে পাউলি একটি টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব মডেল হিসেবে ব্লু ইকোনমির ধারণা দেন। গত দুই দশকের নানা পরিমার্জন-পরিবর্ধনের মধ্য দিয়ে ব্লু ইকোনমি মডেল আজ একটি প্রতিষ্ঠিত ধারণা। নতুন এই মডেলের আদ্যোপান্ত তুলে ধরতে অধ্যাপক পাউলি ২০১০ সালে প্রকাশ করেন তার সাড়া জাগানো গ্রন্থ ‘"The Open Source from the Source".’ মোট ১৪টি অধ্যায়ে বিভক্ত এই বইটিতে ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে ব্লু ইকোনমির পেছনের তত্ত্ব, তথ্য ও তার প্রয়োগ। নতুন এই মডেল সাদরে বরণ করে নিচ্ছে পৃথিবীর নানা প্রান্তের উদ্যোক্তারা। স্থানীয় প্রযুক্তি, নিজস্ব অভিজ্ঞতা আর ব্লু ইকোনমি মডেলের তত্ত্বীয় জ্ঞানের মিশেল ঘটিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্ভাবন করা হচ্ছে অভিনব নানা ব্যবসা পদ্ধতির। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি এসব ব্যবসা আর্থিকভাবেও লাভজনক বিনিয়োগে পরিণত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন বঙ্গোপসাগরের সমুদ্র সম্পদ বাংলাদেশকে যেমন দিতে পারে আগামী দিনের জ্বালানী নিরাপত্তা, তেমনি বদলে দিতে পারে অর্থনীতির সামগ্রিক চেহারা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাগরে প্রাণিজ-অপ্রাণিজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, জিডিপিকে দুই অঙ্কের ঘরে নিতে পারে খুব সহজেই।এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে সামুদ্রিক খাবার ও পুষ্টি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব। অন্যদিকে দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে সমুদ্র নির্ভর ব্লু ইকোনোমির বদৌলতে।সোনার বাংলাদেশ গড়ার পথে ব্লু ইকোনোমির নীল বিপ্লব এখন তাই সময়ের দাবি।

বঙ্গোপসাগরের বিরোধীয় বিশাল সামুদ্রিক এলাকা দখলে আসার পর সরকারি ও রাজনৈতিকভাবে দেশব্যাপী নানা আঙ্গিকে বিজয় উৎসবও পালন করা হয়। কিন্তু ওই পর্যন্ত। এরপর বিজয়ের জোয়ার থেমে যায়। বিশাল সমুদ্র জয়ের পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের যে বিশাল ঢেউ আছড়ে পড়ার কথা, তা কিন্তু হয়নি। আমরা জানি ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বঙ্গোপসাগরের কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, সমুদ্র সম্পদ জরিপ সংক্রান্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমীক্ষা রিপোর্টে বঙ্গোপসাগরের বিপুল প্রাকৃতিক, খনিজ ও মৎস্য সম্পদ সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। বঙ্গোপসাগর হচ্ছে বিশ্বের ৬৪টি উপসাগরের মধ্যে অন্যতম বৃহৎ উপসাগর। এই সাগর তীরে বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার ও থাই উপকূলে বাস করে অন্তত ১৪৫ কোটি মানুষ। সবচে’ বড় কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের অবস্থান বঙ্গোপসাগরের মূল কেন্দ্রে। স্বাভাবিক কারণে বঙ্গোপসাগরের বিপুল অর্থনৈতিক সম্ভাবনার সুফল বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে সমৃদ্ধ করার কথা। কিন্তু তা হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে সমুদ্র সম্পদ যেমন মৎস্য, পরিবেশবান্ধব সমুদ্রশিল্প (বন্দর স্থাপনা ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প), খনিজ সম্পদ (তেল-গ্যাস), এমনকী সামুদ্রিক বাতাস, ঢেউ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সমুদ্র তলের প্রাকৃতিক সম্পদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা শিল্প-বাণিজ্যকে ‘ব্লু ইকোনমি’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

পরিকল্পিত ‘ব্লু ইকোনমি’ গড়ে তুলে বাংলাদেশ বিশাল সমুদ্র সম্পদ আহরণ করতে পারে। এরজন্য দরকার একটি জাতীয় ‘ব্লু ইকোনমি মাস্টারপ্লান’। এই মাস্টারপ্লানে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা ও ভারসাম্যমূলক সম্পর্কের দিক নির্দেশনা থাকাটা যেমন জরুরি। তেমনি মৎস্য, খনিজ ও অন্যন্য প্রচলিত-অপ্রচলিত সামুদ্রিক সম্পদের মজুদ সম্পর্কে একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত জরিপ রিপোর্ট তৈরিও জরুরি। ইতোমধ্যে ‘ব্লু ইকোনমি’র সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে চট্টগ্রাম, ঢাকা, কক্সবাজারে বেশ কয়েকটি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে থেমে গেছে উদ্যোক্তাদের কার্যক্রম। বাস্তবে ‘ব্লু ইকোনমি’ সম্পর্কে দেশবাসীর কাছে এখনো স্পষ্ট কোন ধারণা নেই। মেরিটাইম সেক্টর ব্যতীত অন্য কোন সেক্টরের দায়িত্বশীলরাও এ’ব্যাপারে ধোঁয়াশায় আছেন। জাতীয় নীতি নির্ধারকদের যেমন এর জন্য দায়ী করা যায়, তেমনি দায়ী দেশীয় মিডিয়াগুলো। ‘ব্লু ইকোনমি’ নিয়ে বিশ্বের বৃহত্তম বদ্বীপের মিডিয়াগুলোতে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বা লেখালেখি হয় কদাচিত। মিডিয়াগুলো সঠিক দায়িত্ব পালন করলে এ’ব্যাপারে শুধু উপকূলীয় এলাকা নয়, সারাদেশেই সমুদ্র সম্পদ সম্ভাবনা নিয়ে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠত। জনমত গড়ে উঠলে জাতীয় নীতি নির্ধারকেরা বিপুল সমুদ্র সম্পদ আহরণে উদ্যোগ নিতে বাধ্য হতেন। বিশাল সমুদ এলাকার নিরাপত্তা এবং জাতীয় সার্বভৌমত্বের প্রয়োজনে আমাদের নৌ বাহিনীর আধুনিকায়ন কার্যক্রম চলছে। যুক্ত হয়েছে বেশ ক’টি বড় এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধ জাহাজ ও টহল ফ্রিগেড। কিন্তু সমুদ্র সম্পদ আহরণ, সমুদ্র সম্পদ ও উপকূলীয় পর্যটন সম্ভাবনার ব্যাপক প্রসার, সমুদ্র তল থেকে তেল গ্যাসসহ অন্যান্য খনিজ সম্পদ আহরণের মত প্রশিক্ষিত জনসম্পদ, প্রযুক্তি, কারিগরি কৌশল আমাদের নেই। টেকসই উন্নয়নের জন্য আমাদের দরকার, টেকসই সামুদ্রিক অর্থনৈতিক পলিসি তথা ‘ব্লু ইকোনমি পলিসি’। এ’ব্যাপারে জ্ঞান, প্রযুক্তি, সামুদ্রিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, সমুদ্র দুষণ ঠেকানোসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সমন্বয়ে যৌথ ওসেনোগ্রাফিক কমিশন গঠনের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা জরুরি। কারণ সমুদ্র সম্পদ আহরণে জাতি হিসাবে আমরা এখনো অনভিজ্ঞ। তুলনায় জাপান, থাইল্যান্ড হাজার যোজন এগিয়ে। প্রতিবেশি ভারত এমন কী মিয়ানমারও আমাদের ছাড়িয়ে গেছে অনেক আগে। বাংলাদেশের মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূল থেকে ৩৫-৪০ নটিক্যাল মাইল দূরে মাছ আহরণ করে। অথচ ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত আমাদের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল। এদিকে প্রতিবেশি দেশগুলোর অত্যাধুনিক মাছ ধরার ট্রলারগুলো সূযোগ পেলেই যখন তখন আমাদের মৎস্য সম্পদ লুঠ করছে। অন্যদিকে উপকূল থেকে ২৫-৩০ নটিক্যাল মাইলের ভেতরে হাজার হাজার নিবন্ধনহীন ইঞ্জিন বোট বা ট্রলার যথেচ্ছ মৎস্য আহরণ করে মৎস্যশূন্য করে দিচ্ছে পুরো মৎস্য ভান্ডার বঙ্গোপসাগর। অথচ পরিকল্পিত উৎপাদন ও আহরণের মাধ্যমে দেশবাসীর মাছের ৮০ ভাগ চাহিদা বঙ্গোপসাগর থেকে যোগান পাওয়া যেত। মৎস্য সমুদ্র সম্পদ সুরক্ষা ও আহরণ, উপকূলীয় পর্যটন, মেরাইন বায়ো টেকনোলজি চালু, সমুদ্রশক্তি (মেরাইন এনার্জি) এবং সমুদ্র্র গর্ভের বিপুল খনিজ সম্পদ আহরণের পাশাপাশি জলদস্যু, অস্ত্র-মাদক চোরাচালানমুক্ত, নিরাপদ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমুদ্র রুট তৈরি করে খুব সহজে ‘ব্লু ইকোনমি’র সম্ভাবনার দ্বার খুলে দেয়া যায়। এরজন্য দরকার শুধু দূরদর্শী (ভিশনারি) নেতৃত্ব ও প্রজ্ঞা। ইতোমধ্যে বিপুল সমুদ্র সম্পদ নিয়ে গবেষণা এবং অনুসন্ধানী কার্যক্রম চালাতে কক্সবাজারের রামুতে ওসেনোগ্রাফী ইনস্টিটিউট স্থাপনের কাজ চলছে। কাজ করছে নৌ-বাহিনীর কিছু জরিপ জাহাজও।
আমাদের মনে রাখা দরকার, ২০৩০ সালের মধ্যে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে পূর্ব এশীয় দেশগুলোর সমুদ্র বানিজ্য একশত ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে। এই বিশাল সমুদ্র পথের কেন্দ্রে আছে বাংলাদেশ তথা বঙ্গোপসাগর। স্বাভাবিক কারণে মৎস্য সম্পদসহ বিপুল খনিজ প্রাকৃতিক সম্পদে পূর্ণ বঙ্গোপসাগর হচ্ছে বাংলাদেশের জন্য সৃষ্টিকর্তার এক অনুপম উপহার। কিন্তু এই উপহার নিয়ে বসে বসে সময় নষ্ট করলে তো চলবে না। সোনার খনি বঙ্গোপসাগরের অপার সম্ভাবনা সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহারে মনোযোগ দিতে হবে এই মুহূর্তে।

 

∎StudyPress-এ রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে--

- প্রথমে, www.studypress.org -এই অ্যাড্রেসে যান।

-- তারপর, (Sign up Now)-এ Click করুন।

-- এবার, আপনার (email ID), (Mobile number) এবং নিজের পছন্দের (password) লিখুন।

- এবার, (সাইন আপ) -এ ক্লিক করুন।

Or, স্টাডিপ্রেসে আপনার রেজিস্ট্রেশন করা আছে কিন্তু "পাসওয়ার্ড " ভুলে গেছেন। তাহলে আপনার "ই-মেইল" ও "মোবাইল নম্বর" studypress FB page -এ Message পাঠান। নতুন পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।

 

∎আমাদের যোগাযোগ করতে পারবেন ৩ (তিন) ভাবে-

১। সরাসরি কথা বলুন-(০১৯১৭-৭৭৭০২১)

২। StudyPress ফেসবুক পেইজে ইনবক্স করুন অথবা,

৩। ওয়েবসাইটের অন-লাইন চ্যাট অপশনটি ব্যবহার করুন।

∎আমাদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত 24/7

# কোর্সের ফি দিতে পারবেন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন পেমেন্টে র মাধ্যমে অথবা বিকাশের মাধ্যমে। ০১৯১৭৭৭৭০২১/০১৭১৯৪৩৪৮৮৫ আমাদের বিকাশ নাম্বার।

bcs, bcs exam, bcs exam bangladesh, bcs exam results, bcs exam question, bcs exam quesitons, bcs exam time table 2017, bcs exam 2017, bcs exam papers, bcs exam preparation, bcs exam preparation books, bcs exam requirements, bcs exam fees, bcs exam results portal, bcs exam result 2017, bcs exam results release date, bcs exam bangladesh 2017, bcs exam bangladesh syllabus, bcs exam bangladesh preparation, bcs exam bangladesh sample quesitons, bcs exam bangladesh rules, bcs exam question and answer, bcs exam question and answer 2016, bcs exam question and answer 2015, bcs exam question and answer 2017, bank job bangladesh 2017, bank job bangladesh circular, bank job bd circular, bank job bd guide বিসিএস, বিসিএস প্রস্তুতি, বিসিএস সিলেবাস, বিসিএস প্রশ্ন, বিসিএস বই ডাউনলোড, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার বই, বিসিএস কি, বিসিএস পরীক্ষা, বিসিএস পুলিশ ক্যাডার, বিসিএস লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস, বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার, বিসিএস প্রস্তুতি বই ডাউনলোড, বিসিএস প্রস্তুতি ৩৮, বিসিএস প্রস্তুতি রুটিন, বিসিএস প্রস্তুতির বই, বিসিএস প্রস্তুতি প্রশ্ন, বিসিএস প্রস্তুতি pdf, বিসিএস সিলেবাস ৩৭তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৮তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৬তম, বিসিএস সিলেবাস ৩৫তম, বিসিএস সিলেবাস pdf, বিসিএস সিলেবাস ডাউনলোড, বিসিএসের সিলেবাস, বিসিএস এর সিলেবাস, ৩৮তম বিসিএস এর সিলেবাস, ৩৮ তম বিসিএস ৩৮ তম বিসিএস প্রস্তুতি, ৩৮ তম বিসিএস সিলেবাস, ৩৮ তম বিসিএস কবে হতে পারে, ৩৮ তম বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি, ৩৮ তম বিসিএস পরীক্ষা, ৩৮তম বিসিএস প্রিলি, ব্যাংক জব প্রস্তুতি বই, ব্যাংক জব প্রশ্ন, ব্যাংক জব সার্কুলার ২০১৭, ব্যাংক জব ২০১৭, ব্যাংক জবের প্রস্তুতি, ব্যাংক জব কোচিং, ব্যাংক জব সিলেবাস, ব্যাংক জব সলুশন,