Studypress News

বাংলাদেশের প্রথম ন্যানো স্যাটেলাইট প্রস্তুত

11 Feb 2017

 বাংলাদেশের প্রথম নিজস্ব ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ (ন্যানো স্যাটেলাইট) ‘ব্র্যাক অন্বেষা’ তৈরি করল ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জাতীয় সংগীত নয়, মহাকাশ থেকে বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি, নদী, ফসলের মাঠ থেকে শুরু করে নগর, পাহাড়-সাগর—সবকিছুরই পর্যায়ক্রমিক আলোকচিত্রও এই উপগ্রহ থেকে পাওয়া যাবে।

উন্নত দেশগুলো বেশ আগেই কৃত্রিম উপগ্রহের মালিক হয়েছে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানই শুধু এর মালিক। আগামী মার্চে বাংলাদেশের কৃত্রিম উপগ্রহটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত হবে। মে থেকে তা মহাকাশে ঘুরে বেড়াবে। উপগ্রহটির ওজন প্রায় এক কেজি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা এবং বর্তমানে জাপানের কিউশু ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (কিউটেক) গবেষণারত বাংলাদেশি তিন শিক্ষার্থীর তৈরি এই উপগ্রহ মহাকাশে উৎক্ষেপণের জন্য জাপান অ্যারোস্পেস এক্সপ্লোরেশন এজেন্সির (জেএএক্সএ) কাছে গতকাল বুধবার হস্তান্তর করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল জাপানে এক অনুষ্ঠানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ সাদ আন্দালিব কিউটেক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহটি গ্রহণ করেন। পরে তা জেএএক্সএর কাছে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানটি জাপানের কিতাকিউশু থেকে ঢাকায় ব্র্যাকের মহাখালী ক্যাম্পাসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। অনুষ্ঠানে সৈয়দ সাদ আন্দালিব বলেন, এর ভেতর দিয়ে বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্রে এক নতুন যুগে প্রবেশ করল।
শুধু ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যই নন, দেশে মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করেন এবং কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাঠানো ছবি ব্যবহার করেন, তারাও এই ঘটনাকে দেশের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। তারা বলছেন, এত দিন বাংলাদেশ মূলত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও ভারতের কাছ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহের নেওয়া ছবি কিনত। এতে বৈদেশিক মুদ্রা খরচের পাশাপাশি অনেক ক্ষেত্রে তা বাংলাদেশের ভূমিরূপ ও প্রকৃতি বোঝার উপযোগী হতো না। দেশীয় কৃত্রিম উপগ্রহ হলে আগের ওই সমস্যা থেকে বাংলাদেশ পর্যায়ক্রমে মুক্তি পাবে।

বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য ক্ষুদ্রাকৃতির কৃত্রিম উপগ্রহ বেশি উপযোগী। কেননা, এর মাধ্যমে অল্প খরচে এবং সহজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মহাকাশ থেকে পাঠানো বাংলাদেশের ছবি আমরা পেতে পারব। দেশের কৃষি, পরিবেশ, বন, নদী থেকে শুরু করে যেকোনো ভৌগোলিক ছবি পাওয়া সম্ভব হবে। এত দিন এসব ছবি আমাদের বিদেশি সংস্থার কাছ থেকে কিনতে হতো