Studypress News
অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা
30 Jan 2017
অর্থবর্ষের প্রথমার্ধের উৎপাদন সহায়ক, সতর্ক নীতির ভঙ্গিটি অপরিবর্তিত রেখে ঘোষণা করা হয়েছে অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি । ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া চলতি অর্থবছরের বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ। সেই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৮ শতাংশে আটকে রাখার প্রয়াস নেয়া হয়েছে।
জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ। যার মধ্যে বেসরকারি ঋণে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সরকারি ঋণে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করেছিল। জানুয়ারি-জুন মেয়াদের মুদ্রানীতিতেও ঋণ প্রবৃদ্ধির একই প্রত্যাশা বজায় রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।২০১৬ সালের ডিসেম্বর শেষে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হলেও রেমিটেন্স প্রবাহ ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে।
কৃষি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উৎপাদন উদ্যোগে ঋণ সরবরাহ সহজ করা হয়েছে। পাশাপাশি তরুণ নতুন উদ্যোক্তাদের স্টার্টআপ, ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ও বেসরকারি মূলধন বাজারের বিকাশে সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন সমর্থন দিচ্ছে।
ঘোষিত মুদ্রানীতিতে জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ ঋণের প্রবৃদ্ধি থাকলেও নভেম্বর পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ১৫ শতাংশ। ব্যাপক মুদ্রার প্রক্ষেপণ ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং রিজার্ভ মুদ্রার প্রক্ষেপণ কর হয়েছে ১৪ শতাংশ। এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ঋণ প্রবাহের এই ঊর্ধ্বমুখী জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, এমনকি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রমের ক্ষেত্রেও পর্যাপ্ত। সরকারের ঘাটতি অর্থায়নে ব্যাংক থেকে ঋণ কমে যাওয়া ব্যক্তি খাতের জন্য ঋণের জোগান সুগম করেছে। তবে বাজারভিত্তিক নয় এমন সুদ হারে বিক্রি করা সঞ্চয় স্কিমগুলো বন্ড বাজার বিকাশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।