Studypress News
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হলেন সুবীর চৌধুরী
28 Oct 2015
বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা কাউন্সিলের চার্টার মেম্বার হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুবীর চৌধুরী।
৪৮ বছর বয়সী সুবীর চৌধুরীর জন্ম বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। তিনি এএসআই কন্সাল্টিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী।
অক্টোবর থেকেই তিনি প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিমের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ শুরু করেছেন বলে বিশ্ব ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পাঁচ সদস্যের এই কাউন্সিলের অপর সদস্যরা হলেন- মার্শাল গোল্ডস্মিথ, মার্ক থমসন, রিটা ম্যাকগ্রেইন ও মায়া হু-চান।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর নিজের অনুভূতি জানিয়ে সু্বীর বলেন, “চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা মানুষের উন্নয়নে কাজ করছে বিশ্ব ব্যাংক। এ কাজের অংশ হতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।”
যাদের আয় দৈনিক গড়ে ১.২৫ ডলারের কম, তারাই ‘চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে’ রয়েছে বলে বিবেচনা করে বিশ্ব ব্যাংক।
বাংলাদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষ এ সীমার নিচে অবস্থান করছে জানিয়ে সুবীর বলেন, বিশ্ব ব্যাংক প্রেসিডেন্টের প্রধান লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এ সংকটের সমাধান।
“বিশ্ব ব্যাংক সফল হলে বাংলাদেশেও চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের সংখ্যা শূন্যে নেমে আসবে।”
তবে এ জন্য দেশের নীতি-নির্ধারকদেরও এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারতের খড়গপুর থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে লেখাপড়া করেন সুবীর চৌধুরী।
এরপর মিশিগানের জেনারেল মটর্স কোম্পানির ডেলফি ডিভিশনে কোয়ালিটি অ্যান্ড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি আমেরিকান সাপ্লায়ার ইন্সটিটিউটের নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন।
বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিসহ বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গবেষণার জন্যে তার দেয়া মিলিয়ন ডলার অনুদানে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার বার্কলে ক্যাম্পাসে এ বছরের মার্চ থেকে চালু হয়েছে ‘সুবীর অ্যান্ড মলিনী চৌধুরী সেন্টার ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ।’
১৯৯৬ সালে কেন জিমারের সাথে ‘কিউএস-৯০০০ পায়োনিয়ার’ লিখে আলোচনায় আসা সুবীর চৌধুরীকে ‘দ্য লিডিং কোয়ালিটি এক্সপার্ট’ অভিহিত করেছে নিউইয়র্ক টাইমস।
২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়া সুবীরের মোট ১৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। কোয়ালিটি ও ম্যানেজমেন্টের ওপর প্রকাশিত এসব বই নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আলোচনাও হয়েছে।