Studypress News

বৈদ্যুতিক বিমান নির্মাণে বাংলাদেশী নারীর সফলতা

08 Dec 2016

গত ২৯ সেপ্টেম্বর জার্মানির স্টুটগার্ট বিমানবন্দরে এইচওয়াই-৪ নামের একটি চার আসনের যাত্রীবাহী বিমানের সফল উড়াল সম্পন্ন হয় । নতুন একটি উড়োজাহাজের উড্ডয়ন অবতরণ নতুন কোনো ঘটনা নয়। কিন্তু এই ঘটনা ইতিহাস এ কারণে যে, এইচওয়াই-৪ হচ্ছে পৃথিবীর প্রথম কার্বন নিঃসরণমুক্ত বিমান। যেটি চলে জ্বালানি কোষ ও ব্যাটারির সাহায্যে। এই বিমানের শব্দও কম।দেবযানী ঘোষ ছিলেন এই বিমান তৈরির একজন ‘কারিগর’ । এই বিমান প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক নেতৃত্বে আছে জার্মান অ্যারোস্পেস সেন্টার (ডিএলআর)। প্রধান গবেষণা অংশীদার ইউনিভার্সিটি অব উলম। ইউনিভার্সিটি অব উলমের গবেষণা দলে পিএইচডি গবেষক হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রামের মেয়ে দেবযানী ঘোষ। দলনেতা ড. জোসেফ কাল্লোসহ এ দলে সদস্যসংখ্যা তিন। বিমান নির্মাণের অংশীদার হিসেবে আছে পিপিস্ট্রেল, এইচটুফ্লাই, হাইড্রোজেনিক্স।এইচওয়াই-৪ বিমানের বিদ্যুৎশক্তির ব্যবস্থাপনা নিয়েই কাজ দেবযানীর।ফুয়েল সেল এবং ব্যাটারির ডিসি বিদ্যুৎকে এসিতে রূপান্তর করার জন্য একটা সম্পূর্ণ নতুন সিলিকন কার্বাইডের পাওয়ার ইলেকট্রনিকস আর্কিটেকচার তৈরি করা হলো তার কাজ।’ আর এটা এমনভাবে বানাতে হবে, যা একই সঙ্গে ভালো কাজ দেবে, ওজনে হালকা ও বিশ্বস্ত হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ উৎপাদন যন্ত্রাংশ এবং পাওয়ার ইলেকট্রনিকসের মধ্যে একটা ইন্টারফেস তৈরি করেন দেবযানী। এটি বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কৌশল এবং ব্যাটারির চার্জিং-ডিসচার্জিং অনুযায়ী শক্তির প্রবাহ বদলে দিতে পারে।

এইচওয়াই-৪ হাইব্রিড বৈদ্যুতিক উড়োজাহাজ। জ্বালানি কোষ (ফুয়েল সেল) ও ব্যাটারি এই বিমানের প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। ফুয়েল সেল সরাসরি হাইড্রোজেন এবং বাতাসের অক্সিজেন থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে এই বিদ্যুৎ দিয়ে বিমান চলে। এই প্রক্রিয়ায় বর্জ্য হিসেবে উৎপন্ন হয় শুধু পানি। উচ্চক্ষমতার লিথিয়াম ব্যাটারি বিমানের উড্ডয়ন এবং অবতরণের জন্য বাড়তি শক্তি সরবরাহ করে।’