Studypress News

৩৭তম বিসিএস প্রিলি: “বছর কয়েক আগের তথ্য ২০১৬ এর পরীক্ষায় চাওয়া হয়েছে যা অনেকেই আশা করেনি”

03 Oct 2016

আমার এক বন্ধু ছিল বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। পরীক্ষা কেমন হলো তাকে জিজ্ঞাসা করলেই উত্তর দিত, পরীক্ষা কেমন হয়েছে সেটা বড় কথা নয়; বড় কথা হলো পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বন্ধুর উক্তিটি আজ আপনাদের বললাম। যদিও চাকরির পরীক্ষায় এ কথাটি বড় কষ্টের। এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি এর অবসান হলো। এ যে ছোটগল্পের মত শেষ হয়েও হইল না শেষ। মানুষের মন তো জানতে চায়, তারপর কী! এক বিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, কত পেলে টেকা যাবে? এটিই এখন সর্বত্র। উত্তরটি খুব সহজ। আর তা হলো কেউই জানেনা কত পেলে টিকবেন। এমনকি পিএসসিও এই মুহূর্তে জানে না। তবে অনেকের সাথে কথা বলে বা নিজে চিন্তা করে কিছু অবজারবেশন শেয়ার করা যেতে পারে। যেমন-

ক) প্রশ্নটি সহজ হয়নি। সহজ বলতে বুঝি, আমরা যেমন চাই। মানে ১৪০ সঠিক করব। না তা হয় নি।
খ) বিগত প্রশ্নের উপস্থিতি খুবই কম দেখা গেছে। সেটা বিসিএস বা অন্যান্য পরীক্ষা যেটাই হোক। খুব বেশি আসে নি। 
গ) সাম্প্রতিক বিষয়ের প্রশ্ন নেই বললেই চলে। যেটা আমরা আশা করে থাকি। 
ঘ) পরীক্ষার্থীগন কনফিউশন এ পড়েছে বেশি। এটা না ওটা। 
ঙ) বছর কয়েক আগের তথ্য ২০১৬ এর পরীক্ষায় চাওয়া হয়েছে যা অনেকেই আশা করেনি। 
চ) প্রশ্নটি গতানুগতিকও হয়নি।

এই হচ্ছে মোটামুটি অবজারবেশন। খুব বেশি সংখ্যা কিন্তু টিকাবে না এটা নিশ্চিত। কারন বিজ্ঞাপনে ক্যাডার তুলনামূলকভাবে কম ছিল। 
আমার মনে হচ্ছে ১০০ একটা নিরাপদ জোন। মাস খানেকের মধ্যে সব জানা যাবে আশা করি। অর্থাৎ ফলাফল প্রকাশিত হবে। যারা ১০০ নম্বর অতিক্রম করে গেছেন তারা লিখিত এর জন্য মনস্থির করতে পারেন। আস্তে আস্তে শুরু আর কী। পড়লে তো আর ক্ষতি হবে না। কোথাও না কোথাও কাজে লাগবে।
একটা কথা বলতে ইচ্ছা করছে, এক বিসিএসের সাথে আরেক বিসিএসের তুলনা করে প্রস্তুতি নেওয়ার সময় বোধ হয় শেষ হয়ে গেছে। কারন প্রত্যেকটা বিসিএস নিজস্ব মহিমায় ভাস্বর। অনেকেই আজ পরীক্ষা দিয়ে খুব কষ্ট পেয়েছেন। কেউ বা পিএসসির গুষ্টিও উদ্ধার করছেন। কেউ আর এ পথ মারাবেন না ভেবেছেন। কেউ ভেবেছেন, আমার দ্বারা এ কাজ হবে না। কিন্তু একবারও কী ভেবেছেন, আমার কোথায় দুর্বলতা ছিল। আর একটা কথা, সবাইকে প্রশ্ন দিয়ে দিলেও তো সবাই টিকতেন না। কারন লিখিত দেবে সর্বোচ্চ পনের হাজার। তাই যদি বেশি খারাপ হয়ে থাকে ৩৭ নিয়ে চিন্তা না করে পরবর্তীতে কী করা যায় ভাবুন। এমন উদাহরণ বহু আছে প্রথম বিসিএসে প্রিলি ফেল করে পরের বার প্রথম পছন্দ পেয়েছেন।
তবে এ কথাও মেনে নিচ্ছি, কারন যা-ই হোক না কেন না পাওয়ার বেদনা সব সময়ই কষ্টের। আর এই কষ্ট হোক আগামীর শক্তি। সবার জন্য শুভ কামনা।

 

শাহ্ মো: সজীব

সহকারী কমিশনার

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

রাজবাড়ী।