Currrent News > Business and Economy
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য খাতে ৪৩.৫ বিলিয়ন এবং সেবাখাতে ৭.৫ বিলিয়ন ডলার।
বৈশ্বিক মহামারি করোনভাইরাস সংক্রমণের মধ্যেও সদ্য বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। প্রবাসীদের পাঠানো এই রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
করোনাভাইরাস মহামারিকালেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েই চলেছে। হচ্ছে একের পর এক রেকর্ড। বর্তমানে রিজার্ভ ৪৫.৪৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যা এযাবত কালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এই সূচক মূলত তৈরি করা হয় দেশগুলোর নিরাপত্তা, সুরক্ষা ব্যবস্থা, সামরিকায়ন ও সংঘাতের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ এবার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের আগে রয়েছে ভুটান ও নেপাল।
ভারতের পণ্য রপ্তানির চতুর্থ বড় গন্তব্য বর্তমানে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের আগে আছে কেবল যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসের রপ্তানি হিসেবে এর আগে চতুর্থ স্থানে থাকা হংকং কে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ ওই স্থান দখল করেছে।
আম উৎপাদনে বিশ্বের সেরা ১০টি দেশের তালিকায় উঠলো বাংলাদেশের নাম।
সব আশঙ্কা দূর করে ২০২০ সালে বাংলাদেশ ২২ বিলিয়ন বা ২ হাজার ২০০ কোটি ডলার বা ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (১ ডলার= ৮৪ ডলার) রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পেয়েছে।
দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় তা বছরে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৮৭৩ টাকা।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২১ ইনডেক্স’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী অর্থনৈতিক কার্যক্রমে নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণে বিশ্বব্যাংকের করা সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের সরকার প্রথমবারের মত ইসলামি বন্ড চালু করতে যাচ্ছে। ইসলামিক বন্ড বা সুকুক নামে এই বন্ড চালু করবে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রথম দফায় আট হাজার কোটি টাকার এই ইসলামি বন্ড ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই চালু করতে চায় সরকার।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশের প্রবাসী আয় কমলেও বাংলাদেশের বাড়বে। রেমিট্যান্স প্রবাহে এবার বিশ্বে অষ্টম অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ।
চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ। নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারির নেতিবাচক প্রভাবে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
কানাডার ফ্রেজার ইনস্টিটিউট দ্বারা প্রকাশিত “গ্লোবাল ইকোনমিক ফ্রিডম ইনডেক্স ২০২০ বার্ষিক প্রতিবেদন” এ ভারতকে ১০৫ তম স্থান দেওয়া হয়েছে, যা দিল্লি ভিত্তিক থিংক ট্যাঙ্কের সেন্টার ফর সিভিল সোসাইটির সাথে একত্রে ভারতে প্রকাশিত হয়েছে। এটি বিশ্ব অর্থনৈতিক স্বাধীনতার ২৪ তম সংস্করণ।২০১৯ সালের তালিকায় ভারতের স্থান ছিল ৭৯।শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে হংকং এবং সিঙ্গাপুর।